আপনি কি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী? আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটি হল কিভাবে এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করা যায়। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করার সঠিক পদ্ধতি জানেন না। যার ফলে এইচএসসি পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর লাভ করতে পারে না। ফলস্বরূপ দেখা যায় যে তার ওভারঅল রেজাল্ট খুব ভালো হয় না। তাই HSC তে ভালো ফলাফল করার জন্য সবচেয়ে যেটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল পড়াশোনা করা। পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোন উপায় ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব না।
আবার শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না। পড়াশোনা একটি নির্দিষ্ট নিয়মে পদ্ধতি অনুসরণ করে চালিয়ে যেতে হবে। তবেই ভালো ফলাফল করা সম্ভব। তবে অনেক অনেক বেশি পড়ার বিকল্প নেই। যত বেশি পড়তে পারবে তত বেশি শিখতে পারবেন। তাই এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত রুটিন মাফিক বেশি বেশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।
তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে পড়াশোনা করার সময় কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন করতে। একজন ভালো শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য হলো সে যখন পড়াশোনা করে সে পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যম দিয়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করে। যার ফলে সে অল্প সময় পড়ে অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে। তাই আপনারা যারা HSC তে ভালো রেজাল্ট করার নিয়ম বা উপায়ে খোঁজ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলব আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা এইচএসসিতে ভালো ফলাফল রেজাল্ট করার উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি যারা hsc তে ভালো রেজাল্ট করার উপায় খোঁজ করছেন তারা আমাদের এখান থেকে আপনাদের এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এগুলো আপনার বাস্তব জীবনে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
তাই প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আপনারা যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উপায় খুঁজছেন তারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি আপনার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
HSC তে ভালো রেজাল্ট করার উপায়
শিক্ষা জীবনের সকল স্তরে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু রুটিনমাফিক পড়াশোনা করতে হবে। যদি রুটিনমাফিক এবং নিয়ম মেনে পড়াশোনা করা যায় তাহলে যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব। তাই যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চান তাদের অবশ্যই কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি মেনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে. কারণ আপনারা সকলেই জানেন যে এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনেক বেশি।
সেখানে রুটিন অনুযায়ী সময় অনেক কম থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি করে পড়াশোনা করার মধ্য দিয়ে তাদের সিলেবাস শেষ করতে হয়। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলবো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য আপনাদের পড়াশোনা পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনেক অনেক সময় ধরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।
hsc তে ভাল রেজাল্ট করার উপায় গুলো নিম্নে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। আশা করি এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হবেন।
(১) নিয়মিত পড়াশোনা করা : তোমরা সকলে জানো যে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। যে যত বেশি নিয়মিত পড়াশোনা করবে সে তত বেশি জ্ঞান অর্জন করবে। একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নিকট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত পড়াশোনা করা। একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। যে পড়াশোনা বাদ রেখে অন্য কাজের প্রতি আসক্ত হয় তখন তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ থাকে না।
যার ফলে সে খুব ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয় না। তাই একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য প্রথম এবং সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো নিয়মিত পড়াশোনা করা। কারণ নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে একজন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়।
(২) নিয়মিত ক্লাস করা : একজন ভালো শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য হলো সে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে এবং ক্লাসে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় সেগুলো মনোযোগ সহকারে সে শোনে এবং প্রয়োজনের খাতায় নোট করে রাখে। তাই ভালো শিক্ষার্থী এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। কারণ ক্লাসে অনেক গুরুত্ব বিষয় নিয়ে শিক্ষক আলোচনা করে থাকেন। যা থেকে একজন শিক্ষার্থী অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং যে বিষয়গুলো সে একা একা বুঝতে সক্ষম হয় না সেগুলো শিক্ষকের মাধ্যমে বুঝতে পারেন।
তাই hsc তে ভালো ফলাফল করতে হলে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। তোমরা যারা এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করতে চাও তাদের উদ্দেশ্যে বলব তোমরা নিয়মিত ক্লাস করবে। নিয়মিত কলেজে যাবে এবং নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকবে। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার ফলে নিজের মধ্যে পড়াশোনা করার একটি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে অন্য কোন চিন্তা-ভাবনা উদ্রেক হয় না।
(৩) পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া : একজন শিক্ষার্থী যদি তার পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যক্রম এর প্রতি মনোযোগী না হয় তাহলে সে কখনোই ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হবে না। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীকে তার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কারণ কোন কাজে যদি শতভাগ মনোযোগ না থাকে তাহলে সেই কাজ কখনই শতভাগ সফল হয় না। আর একজন শিক্ষার্থীর সফলতার প্রমাণ হলো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা।
বিশেষ করে একজন এইচএসসি শিক্ষার্থীদের নিকটে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রবেশ করার মানে হল পূর্বের তুলনায় যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান এর নতুন ভান্ডারে প্রবেশ করা এবং নতুন নতুন জ্ঞান আহরণ করা। সহজ ভাবে বলা যায় যে মাধ্যমিক লেভেলের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলের পড়ার সিলেবাস অনেক বড় হয় এবং জ্ঞানের গভীরতা অনেক বেশি থাকে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে অবশ্যই তার পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশ খুব গভীরভাবে করা প্রয়োজন।
(৪) সময়ের সদ্ব্যবহার করা : একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখা। কারণ যে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে জানে না সে কখনো সফলকাম হতে পারে না। একজন সময়ানুবর্তিতা সম্পন্ন মানুষের জীবনে সকল ক্ষেত্রে সফল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সময়ের সদ্ব্যবহার করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারলে একজন শিক্ষার্থী তার জীবনের সকল পরীক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সফল হবার দাবিদার হয়ে ওঠে। একজন এইচএসসি শিক্ষার্থীদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে এসএসসির তুলনায় এইচএসসিতে সিলেবাস অনেক বড় হয়ে থাকে। তাই তোমরা যেমন ভাবে এসএসসিতে পড়াশোনা করে এসেছ তার তুলনায় এইচএসসিতে তোমাকে অনেক গুন বেশী পড়াশুনার প্রতি সময় ব্যয় করতে হবে। আর এই সময়ের ব্যবহার করতে পারার পরেই একজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
তাই তোমাদের উদ্দেশ্যে করবো তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা অবশ্যই সময়ের সদ্ব্যবহার করে পড়াশোনা নিজের মতো করে চালিয়ে নেবে। সময়ের সদ্ব্যবহার না করে অবহেলায় সময় নষ্ট করলে তোমরা তোমাদের সিলেবাস কমপ্লিট করতে পারবে না। যার ফলে তোমরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে না। তাই অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শিখতে হবে।
(৫) কৌশলী হওয়া : পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কৌশল অবলম্বন করা। কারণ সব সময় গতানুগতিক পড়ার মধ্যে না থেকে নিজের মধ্যে সৃজনশীলতার সৃষ্টি করা এবং নতুন ভাবে কৌশলী হওয়ার মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থী অন্যদের তুলনায় একটু পৃথক ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে। কারণ যে সকল শিক্ষার্থীরা একটু পড়াশোনার মধ্যে কৌশল অবলম্বন করে তারা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অল্প পড়েও অনেক ভাল রেজাল্ট করতে সক্ষম হয়।
তাই পড়া এবং লেখার মাঝে কৌশল অবলম্বন করাটা অনেক ফলদায়ক হয়। অনেক সময় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষার খাতায় লিখবে তখন একটু কৌশল করে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে লিখলে অনেক সময় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব হয়। তাই এইচএসসি সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলল তোমরা তোমাদের পড়া এবং লেখার মাঝে কিছুটা কৌশল অবলম্বনকরবে। কৌশলী হওয়ার মধ্য দিয়ে তুমি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে।
(৬) লেখার অভ্যাস করা : স্টুডেন্ট লাইফের একটি বড় পরিচয় হলো লেখা এবং পড়া। কারণ একটি প্রবাদ আছে লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। এই কথা থেকে বুঝা যায় যে পড়ার পাশাপাশি লেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি লেখার চর্চা করার মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর দুটি কাজ একসঙ্গে হয়ে যায়। যার ফলে দেখা যায় যে সে পড়া এবং লেখার মাধ্যমে যখন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয় যেটি তাকে ফাইনাল পরীক্ষা তো অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে।
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই একটি পড়া মুখস্ত করার পরে সেটি খাতায় লিখে দেখতে হবে যে সে পুরোপুরি পড়াটা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে কিনা। তাই অবশ্যই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলল তোমরা পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খাতায় লেখার অভ্যাস করবে যা তোমাদের পরবর্তীতে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে অনেক বেশি সহায়ক হবে।
(৭) রুটিন মাফিক পড়াশোনা করা : পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে রুটিনমাফিক তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। যে শিক্ষার্থী রুটিন মেনে টাইম বাই টাইম পড়াশোনা করতে পারবে সে কখনোই ভালো ফলাফল করতে পারবে না। একজন শিক্ষার্থীকে সবসময় তার পড়াশোনার প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং রুটিন করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে একজন এইচএসসি শিক্ষার্থীকে তার পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে অবশ্যই রুটিন মেনে পড়াশোনা করতে হবে। তা না হলে সে কখনো ভালো ফলাফল করতে পারবে না।
শুধু এইচএসসি পরীক্ষা বলে কথা নয় অন্যান্য যেকোনো পরীক্ষার জন্য জীবনে অবশ্যই রুটিনমাফিক সকল কাজ করতে হবে। তাই তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলব তোমরা অবশ্যই তোমাদের পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরী করে নিবে।
(৮) নোট তৈরি করা : অনেক এমন বিষয় আছে যেগুলো শুধু পড়াশোনা করলেই হয় না পাশাপাশি নোট করে খাতায় লিখে রাখতে হয়। যাতে পরবর্তীতে প্রয়োজনের সময় এগুলো ব্যবহার করে আগের পড়া নতুনভাবে ঝালিয়ে নেওয়া যায়। সেই ধারণা থেকেই শিক্ষার্থীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাতায় নোট তৈরি করা। অনেক বিষয় আছে যেগুলো ক্লাসের টিচাররা বোঝানোর পরে পরবর্তীতে আর তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। এই জটিল বিষয়গুলো খাতায় নোট করে রাখতে হয়। একজন শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য হলো ক্লাসে যখন উপস্থিত থাকে তখন ক্লাসের শিক্ষক যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে তার মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সে খাতায় নোট করে রাখে।
যাতে পরবর্তীতে বাসায় এসে সে ভালোভাবে সেগুলো বুঝতে সক্ষম হয়। তাই তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে এখন থেকেই ক্লাসের পাশাপাশি টিচারদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খাতায় নোট করে লিখে রাখবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রয়োজনের তাগিদে খাতা দেখে দেখে অনেক সময়ই খুব সহজে পড়ে ফেলা সম্ভব। তাই ছোট ছোট নোট তৈরি করে সেগুলো পড়ার অভ্যাস তৈরি করবে।
(৯) গ্রুপ স্টাডি করা : পড়াশোনার ক্ষেত্রে গ্রুপ স্টাডি করার অনেক লাভ রয়েছে। গ্রুপ স্টাডি করার ফলে একজন শিক্ষার্থী তার চিন্তাভাবনা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের জ্ঞানের বিনিময় করে থাকে। এর মধ্যে যে শিক্ষার্থীর জ্ঞানের ঘাটতি থাকলে সেটি দূর হয়ে যায়। তাই যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে এবং ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি করার কোনো বিকল্প নেই।
তবে অবশ্যই গ্রুপ স্টাডি করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো ভালো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে গ্রুপ স্টাডি করা। কেননা যদি বন্ধুরা ভালো না হয় তাহলে সেই গ্রুপ স্টাডি থেকে কোন লাভ হবে না। তাই এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে গ্রুপ স্টাডি করার সময় অবশ্যই ভালো এবং জ্ঞানী শিক্ষার্থী বাছাই করে তার সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করাই উত্তম।
(১০) বড় ভাই বোনদের থেকে পরামর্শ নেয়া : একজন মানুষ কখনই সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। একেক জন মানুষ একেক বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। তাই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সংকোচ ছাড়াই বড় ভাই বোন বা পিতা-মাতা অথবা অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে বা পরিচিত জনের সঙ্গে কোন বিষয় বুঝতে না পারলে অবশ্যই শেয়ার করতে হবে। কেননা বড় ভাই-বোন বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে জ্ঞানের দুয়ার খুলে থাকে।
এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য শিক্ষার্থীদের বলব তোমরা যদি কোনো বিষয়ে বুঝতে সমস্যা বোধ করো তাহলে অবশ্যই তোমাদের সিনিয়র ভাইবোনদের সঙ্গে বা অন্যান্য টিচারদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে নিবে। তার মাধ্যমে দেখা যাবে যে তুমি যে বিষয়টা বুঝতে পারছিলে না সেটি তোমার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই আশা করব এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য অবশ্যই সিনিয়রদের পরামর্শ নেবে।
(১১) মোবাইল আসক্তি দূর করা : বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে বিজ্ঞানের একটি অভূতপূর্ব উন্নয়ন হলো মোবাইল। মোবাইল দিয়ে এখন অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই মোবাইলের প্রতি আসক্তির কারণে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনা থেকে বিমুখ হয়ে পড়ে। যার মধ্য দিয়ে তার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই যে সকল শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলবো যে তোমরা তোমাদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি দূর করে পড়াশোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হবে।
(১২) ধর্মীয় আদর্শ মেনে চলা : জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন বা আদর্শ মেনে চলার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কেননা প্রত্যেক ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে বা তাগিদ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী যদি তার নিজ নিজ ধর্মের সকল আদর্শ মেনে চলে তাহলে সে কখনোই খারাপ পথে যেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ধর্মের অনেক বড় একটি প্রভাব রয়েছে।
তাই যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে তাদের সকলকে বলব তোমরা তোমাদের নিজ নিজ ধর্মের আদর্শ গুলো মেনে চলবে। যার মাধ্যমে দেখা যাবে তোমাদের মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসনের একটি প্রভাব বিস্তার করবে এবং খারাপ এবং অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে সমর্থ হবে। তার মাধ্যমে তুমি যে কোন বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়াশোনা করতে পারবে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
শেষ কথা
পরিশেষে সকল এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো, তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও আশা করি তোমরা উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো যদি তোমাদের নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারো তাহলে আশা করা যায় তোমরা অবশ্যই সফলকাম হবে এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে। যার মধ্য দিয়ে তোমাদের নিজের পরিবারের এবং আত্মীয় স্বজনের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে এবং নিচে ভবিষ্যতে যেকোনো ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারবে।
এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য আশা করা যায় উপরের বিষয়গুলো না ঠিকমত পালন করার মধ্য দিয়ে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে। তাই সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো তোমরা তোমাদের সময়ের অবহেলা না করে এখন থেকেই ভালো করে ফলাফল অর্জন করার জন্য উপরের বিষয়গুলো নিয়মমতো মেনে চলো। তাহলে আশা করা যায় অবশ্যই তুমি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।